ম্যাট্স ও মেডিকেল টেকনোলজি কোর্সের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
দেশে স্বাস্থ্য সেবাদানের লক্ষ্যে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আপামর জনসাধারণ, তাদের আর্থিক অপ্রতুলতা, যোগাযোগ, দূরত্ব সর্বোপরি আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর প্রতিকূলে থাকায় সারা দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সারাদেশে ১৩৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিটিতে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ও মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট নিয়োগ দানের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া বেসরকারীভাবে স্থাপিত দেশের উপজেলা থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত অসংখ্য প্যাথলজি, ল্যাবটেরী, হাসপাতাল ও ক্লিনিকের অধিকাংশে যথাযথ মানসম্পন্ন মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ও টেকনোলজিষ্টদের নিয়োগ দান আজও সম্ভব হয় নাই। বর্ণিত বিষয় সমূহ বিবেচনায় রেখে দেশের প্রত্যক্ষ গ্রামবাসীর স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে দক্ষ মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ও টেকনোলজিষ্ট তৈরির নিমিত্তে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির এন্ড ম্যাটস্ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
ম্যাট্স ও মেডিকেল টেকনোলজিষ্টদের কর্মসংস্থানের সুযোগ
দেশে এ মূহুর্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এর অধীনে সরকার অনুমোদিত মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট এর পদের মধ্যে ২৫০০ এরও অধিক পদ (পাশ করা মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্টের অভাবে) খালি রয়েছে। দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিটিতে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ও মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট নিয়োগদানের সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত থাকায় দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে অদূর ভবিষ্যতে ১৩,৫০০ জন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ও মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এর অধীনে পূর্বে নিয়োগকৃত মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ও মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট অবসরে যাবেন বলে, এসব সরকারী খালি পদেও কোর্স সম্পন্নকারীগণ নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারবেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বি.এম.ডি.সি) কর্তৃক প্র্যাকটিসের অনুমতি থাকার ফলে মেডিকেল এ্যাসিসটেন্টগণ প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে গ্রাম পর্যায়ের বিপূল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ নিজেদের জীবিকা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।