কোর্স পরিচিতি
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি (ল্যাবরেটরী মেডিসিন)
কোর্সের লক্ষ্য
প্যাথলজি ল্যাবরেটরী টেকনোলজিষ্টদের যথাযথ জ্ঞান দক্ষতা ও দৃষ্টি সম্পন্ন করে তোলা যাতে তারা কার্যক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের সাথে কর্তব্য পালন করতে সক্ষম হয়।
কোর্সের উদ্দেশ্য
কোর্সটির সফল সমাপ্তি পর শিক্ষার্থীর নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে সক্ষম হবে-
- মেডিকেল টেকনোলজি (ল্যাব মেডিসিন) সম্পর্কে একটি নির্খুত জ্ঞান অর্জনে সক্ষম হবে।
- সরকারী বা বেসরকারী পরিচালিত ল্যাবরেটরীতে সফলভাবে কাজ করতে সক্ষম হবে।
- মেডিকেল ডায়াগনষ্টিক ল্যাবরেটরী সংগঠিত ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে।
- মেডিকেল ল্যাবরেটরীর যন্ত্রপাতি গ্লাসওয়ার সঠিকভাবে ব্যবহার ও সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে।
- ল্যাবরেটরী পরীক্ষা ফল প্রস্তুত ও সংরক্ষণ এবং মেডিকেল ল্যাবরেটরীর সমস্ত রির্পোট প্রস্তুত করতে সক্ষম হবে।
- ল্যাবরেটরীতে ইনফেকশন ও অ্যাক্সিডেন্ট প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও ল্যাবরেটরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে।
- ল্যাবরেটরীতে উদ্ভুত জরুরী অবস্থা মোকাবিলা করতে পারবে।
- মেডিকেল টেকনোলজিষ্টদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবে।
- দেশের সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা ও স্বাস্থ্য সেবা দানে মনোনিবেশ করতে পারবে।
- মেডিকেল টেকনোলজিষ্টদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে সহায়তা করতে সক্ষম হবে।
কোর্সের ব্যপ্তি, গঠন ও পরীক্ষা
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি (ল্যাবরেটরী মেডিসিন) কোর্সটির ব্যাপ্তিকাল ৩ বছর। একে ৩টি ধাপে ভাগ করা হয়েছে।
- ১ম বর্ষ
- ২য় বর্ষ
- ৩য় বর্ষ
প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ শেষে একটি করে চূড়ান্ত পরীক্ষা বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
তৃতীয় বর্ষ সমাপণীতে উক্ত অনুষদ কর্তৃক চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
তৃতীয় বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষার পূর্বে ১৮ সপ্তাহ মাঠ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে হয়।
উক্ত পরীক্ষা সমূহ প্রত্যেক বছরের জানুয়ারী এবং জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষাদান পদ্ধতি
লেকচার পদ্ধতিতে বড় দলের প্রশিক্ষণ।
ছোট দলে বিভক্ত করে টিউটোরিয়াল পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ।
ল্যাবটেরীতে ব্যবহারিক শিক্ষাদান।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত বিভিন্ন হাসপাতালে মাঠ প্রশিক্ষণ।
পরীক্ষা পদ্ধতি
ক) কোর্স চলাকালীণ সময়ে কার্ড/ আইটেম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৬ মাস পর অর্ধবার্ষিক ও ১০ মাস পর টেস্ট পরীক্ষা অনুুষ্ঠিত হবে।
খ) বৎসরান্তে (১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষে) বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক ১ম ও ২য় বর্ষ চূড়ান্ত এবং তৃতীয় বর্ষ শেষে চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গ) আইটেম/কার্ড পরীক্ষার মাধ্যমে ফর্মেটিভ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ঘ) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্র্তৃক গৃহীত পরীক্ষার মান বন্টন।
- ফর্মেটিভ পরীক্ষা ২০ নাম্বার (কার্ড ফাইনাল/ আইটেম নম্বর) থেকে।
- বর্ষ সমাপণী পরীক্ষা ৮০ নম্বর।
- পাশ মার্ক ৫০%।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক গৃহীত ১ম ও ২য় বর্ষ সমাপনী ও চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা
- ক্লাসে শতকরা ৭৫ (পঁচাত্তর) ভাগ উপস্থিতি (থিওরি, প্র্যাকটিক্যাল, টিউটোরিয়াল) প্রতি শিক্ষা বর্ষে। ফর্মেটিভ পরীক্ষায় শতকরা ষাট ভাগ নম্বর নিশ্চিতকরণ।
- বিভাগীয় প্রধানের নিকট হতে প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে সন্তোষজনক আচরণের সনদ নিশ্চিত করতে হবে। সন্তোষজনক সনদ লাভে ব্যর্থ হলে পরীক্ষা অংশ গ্রহণের সুযোগ লাভে সমর্থ হবে না।
- ১ম বর্ষে সমস্ত বিষয়ে অনুষদ কর্তৃক গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে ২য় বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে সমর্থ হবে না।
প্রথম বর্ষের বিষয় সমূহ:
১। ইংরেজী ২। পদার্থ বিজ্ঞান ৩। রসায়ন বিজ্ঞান ৪। বেসিক হিউম্যান এনাটমী ৫। বেসিক হিউম্যান ফিজিওলজি ৬। বেসিক কমিউনিটি মেডিসিন ৭। বেসিক মাইক্রোবায়োলজি, প্যারাসাইটোলজি ও ফাস্টএইড।
দ্বিতীয় বর্ষের বিষয় সমূহ:
১। ল্যাবরেটরী টেকনিক ২। জেনারেল মাইক্রোবায়োলজি ও প্যারাসাইটোলজি ৩। ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি ও হেমাটোলজি ৪। ক্লিনিক্যাল কেমিস্ট্রি (জেনারেল) ৫। বেসিক কম্পিউটার সায়েন্স
তৃতীয় বর্ষের বিষয় সমূহ:
১। ক্লিনিক্যাল কেমিস্ট্রি (স্পেশাল), সেরোলজি, ইমিউনোলজি ও হরমোনাল এ্যাসে ২। স্পেশাল মাইক্রোবায়োলজি ৩। হিস্টোপ্যাথলজি, সাইটোলজি এন্ড ব্লাড ব্যাংকিং।
কোর্স পরিচিতি
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি ( ডেন্টিস্ট্রি)
কোর্সের লক্ষ্য
দন্ত চিকিৎসা বিভাগের চিকিৎসা প্রযুুক্তিবিদদের সঠিক জ্ঞান দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রস্তুত করে তোলা, যাতে তারা ডেন্টাল সার্জন ও রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন সক্ষম হয়।
কোর্সের উদ্দেশ্য
ডেন্টিস্ট্রি কোর্সে ৩ বছরের ডিপ্লোমা সম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীরা নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে সমর্থ হবে। যেমন-
ক) যেকোন বড় ও ছোট ওরাল ফেসিয়াল সার্জারীর ক্ষেত্রে ডেন্টাল সার্জনকে সহায়তা প্রদান।
খ) ক্ষতিগ্রস্থ দাঁতের উত্তোলন ও সংস্কার।
গ) ক্যাস্ট অপারেশন এ্যাপিসেক্টোমী অপারেশন।
ঘ) ম্যাক্সিলা, মেনডিবল-এ দূর্ঘটনার ফলে যে কোন আঘাতজনিত অপারেশন সংক্রান্ত কাজ, ট্রাওমা এরপর অপারেশন সংক্রান্ত কার্যপদ্ধতি।
ঙ) বিভিন্ন প্রকার রক্ষণশীল চিকিৎসা।
চ) রোগীদের ওরাল হাইজিন বিষয়ে পরামর্শ।
ছ) ডেনচার, ক্রোন, ব্রিজ ও দন্ত সংক্রান্ত উপাদান নির্মাণ ও মেরামত।
জ) স্কেলিং পলিসিং, ড্রেসিং এবং সমস্যাযুক্ত দাঁতের সাময়িক ও স্থায়ী ফিলিং এর ক্ষেত্রে ছোট খাট সেবা প্রদান।
ঝ) ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শক্রমে দুধ দাঁতের উত্তোলন।
ঞ) যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করণ।
ট) স্টক লেজার রক্ষণাবেক্ষণ, তথ্য সংরক্ষণ, ফরমায়েশ প্রস্ততকরণ, ক্ষতিগ্রস্থ বা হারিয়ে যাওয়া যন্ত্রপাতির তথ্য সংরক্ষণ।
ঠ) ল্যাবরেটরীর ও সার্জারীর যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে সংরক্ষণ।
ড) ডেন্টাল সার্জনের প্রেসক্রিপশন ও পরামর্শ রোগীকে ব্যাখ্যা করা।
ঢ) যেখানে ডেন্টাল সার্জনের সেবা পাওয়া সম্ভব নয় সেখানে দাঁতের রোগীকে সাধারণ সেবা প্রদান।
ণ) জনস্বাস্থ্য বিষয়ে দন্ত প্রযুক্তিবিদদের ভূমিকা ও সুযোগ সম্পর্কে সতেন হওয়া।
ত) রোগীদের সাধারণ অবস্থা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, বহুমূত্র এবং বিভিন্ন প্রকার রক্ত রোগ সম্পর্কে অবগত হওয়া।
থ) দন্ত প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার ভবিষ্যৎ উন্নয়নে অবদান রাখা।
কোর্সের পর্যালোচনা
ক) কোর্স শিরোনাম ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি ডেন্টিস্ট্রি
খ) কোর্স দর্শন ও যৌক্তিকতা : দন্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে চারস্থর বিশিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি চালু আছে। ওরাল সার্জারী ক্ষেত্রে সার্জনদের ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি স্টেরিলাইজেশন, রোগী ব্যবস্থাপনা, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি প্রদান করতে অভিজ্ঞ প্রযুক্তিবিদদের সহায়তা প্রয়োজন।
বিভিন্ন ধরনের কারিগরী সহায়তা দরকার হয় সুচার, ক্রাউন ও ব্রীজ তৈরি। দন্ত চিকিৎসায় আরও প্রয়োজন পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, স্টক লেজার মেনটেইন যার জন্য একজন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট এর প্রয়োজন, যাতে যথাযথ ও কার্যকরী চিকিৎসা সুবিধা দেয়া যায়।
কোর্সের ব্যপ্তি, গঠন ও পরীক্ষা
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি ডেন্টিস্ট্রি কোর্সটির ব্যাপ্তিকাল ৩ বছর। একে ৩টি ধাপে ভাগ করা হয়েছে।
- ১ম বর্ষ
- ২য় বর্ষ
- ৩য় বর্ষ
প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ শেষে একটি করে চূড়ান্ত পরীক্ষা বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
তৃতীয় বর্ষ সমাপনীতে উক্ত অনুষদ কর্তৃক চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
তৃতীয় বর্ষে পরীক্ষার পূর্বে ১৮ সপ্তাহ মাঠ প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহণ করতে হয়।
উক্ত পরীক্ষা সমূহ প্রত্যেক বছরের জানুয়ারি এবং জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষাদান পদ্ধতি
- লেকচার পদ্ধতিতে বড় দলের প্রশিক্ষণ।
- ছোট দলে বিভক্ত করে টিউটোরিয়াল পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ।
- ল্যাবরেটরীতে ব্যবহারিক শিক্ষাদান।
- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেন পরিচালিত বিভিন্ন হাসপাতালে মাঠ প্রশিক্ষণ।
পরীক্ষা পদ্ধতি
ক) কোর্স চলাকালীন সময় কার্ড/ আইটেম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ মাস পর অর্ধবার্ষিক ও ১০ মাস পর টেষ্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
খ) বৎসরান্তে (১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষ) বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক ১ম ও ২য় বর্ষ চূড়ান্ত এবং তৃতীয় বর্ষ শেষে চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
গ) আইটেম/কার্ড পরীক্ষার মাধ্যমে ফর্মেটিভ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ঘ) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক গৃহীত পরীক্ষার মান বন্টন।
* ফর্মেটিভ পরীক্ষা ২০ নাম্বার (কার্ড ফাইনাল/ আইটেম নম্বর) থাকে।
* বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা ৮০ নম্বর।
* পাশ মার্ক ৫০%।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক গৃহীত ১ম ও ২য় বর্ষ সমাপণী ও চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের যোগ্যতা-
* ক্লাসে শতকরা ৭৫ (পঁচাত্তর) ভাগ উপস্থিতি (থিওরি, প্র্যাকটিক্যাল, টিউটোরিয়াল) প্রতি শিক্ষা বর্ষে। ফর্মেটিভ পরীক্ষায় শতকরা ষাট ভাগ নম্বর নিশ্চিতকরণ।
* বিভাগীয় প্রধানের নিকট হতে প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে সন্তোষজনক আচরণের সনদ নিশ্চিত করতে হবে। সন্তোষজনক সনদ লাভে ব্যর্থ হলে পরীক্ষার অংশ গ্রহণের সুযোগ লাভে সমর্থ হবে না।
* ১ম বর্ষে সমস্ত বিষয়ে অনুষদ কর্তৃক গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে ২য় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবে না।
* বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক গৃহীত ১ম ও ২য় বর্ষ সমাপণী পরীক্ষায় সকল বিষয়ে পাস ব্যতিরেখে ৩য় বর্ষের চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে সমর্থ হবে না।
প্রথম বর্ষের বিষয় সমূহ :-
১। ইংরেজি ২। পদার্থ বিজ্ঞান ৩। রসায়ন বিজ্ঞান ৪। বেসিক হিউম্যান এনাটমী ৫। বেসিক হিউম্যান ফিজিওলজি ৬। বেসিক কমিউনিটি মেডিসিন ৭। বেসিক মাইক্রোবায়োলজি, প্যারাসাইটোলজি ও ফাস্টএইড।
দ্বিতীয় বর্ষের বিষয় সমূহ :-
১। কেমিস্ট্রি অব ডেন্টাল ম্যাটেরিয়ালস ২। টেকনিক অব পার্সিয়াল ডেনচার প্রসথেসিস ৩। টেকনিক অব কমপ্লিট ডেন্চার প্রসেথেসিস ৪। ইন্ট্রোডাকশন টু ওরাল এন্ড ডেন্টাল এনাটর্মী ৫। বেসিক কম্পিউটার সায়েন্স।
তৃতীয় বর্ষের বিষয় সমূহ :-
১। কমিউনিটি ডেন্টিস্ট্রি ইনক্লুডিং প্রাইমারী ডেন্টাল কেয়ার হাইজিন। ২। ইন্ট্রোডাকশন টু ড্রাগস ইউজড ইন ডেন্টাল সার্জারী এন্ড ডেন্টাল সার্জারী এসেসটেন্স ৩। এ্যাপ্লাইড ডেন্টাল প্রসথেটিক টেকনিক।
কোর্স পরিচিত
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি (রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং)
কোর্সের লক্ষ্য
রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগের স্বাস্থ্য প্রযুক্তিবিদদের জ্ঞান দক্ষতা এবং দৃষ্টিভঙ্গিতে আচরণগত পরিবর্তন সাধনে প্রস্তুত করে তোলা। দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ক্লিনিকগুলি এই সব প্রযুক্তিবিদদের মাধ্যমে যাতে তাদের কাঙ্খিত লক্ষ অর্জন করতে পারে সেই বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রযুক্তিবিদদের প্রস্তুত করে তোলা।
কোর্সের উদ্দেশ্য
সফলভাবে এই কোর্সে সমাপনের পর একজন স্বাস্থ্য প্রযুক্তিবিদ (রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং) নিম্নোক্ত কাজগুলি সম্পাদন করতে পারবে।
* রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিষয়ে জ্ঞানের সংগঠিত ভিত্তি প্রদর্শন করতে পারবে।
* রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং এর বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
* রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং এর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় তথ্যাদির উপর দক্ষতা অর্জন করা।
* রেডিয়েশনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিকসমূহ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে জ্ঞান লাব করা।
* রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং এর কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করা।
* বাংলাদেশে রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং এর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম আরো উন্নততর করতে ভূমিকা রাখা।
কোর্সের ব্যাপ্তি, গঠন ও পরীক্ষা
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং কোর্সটির ব্যাপ্তিকাল ৩ বছর। একে ৩টি ধাপে ভাগ করা হয়েছে।
- ১ম বর্ষ
- ২য় বর্ষ
- ৩য় বর্ষ
প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ শেষে একটি চূড়ান্ত পরীক্ষা বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তৃতীয় বর্ষ সমাপণীতে উক্ত অনুষদ চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
তৃতীয় বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষার পূর্বে ১৮ সপ্তাহ মাঠ প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করতে হয়।
উক্ত পরীক্ষা সমূহ প্রত্যেক বছরের জানুয়ারী এবং জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষাদান পদ্ধতি
* লেকচার পদ্ধতিতে বড় দলের প্রশিক্ষণ।
* ছোট দলে বিভক্ত করে টিউটোরিয়াল পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ।
* ল্যাবরেটরীতে ব্যবহারিক শিক্ষাদান।
* চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রামে সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত বিভিন্ন হাসপাতালে মাঠ প্রশিক্ষণ।
পরীক্ষা পদ্ধতি
ক) কোর্সে চলাকালীন সময়ে কার্ড/ আইটেম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ মাস পর অর্ধবার্ষিক ও ১০ মাস পর টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
খ)বৎসরান্তে (১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষ) বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্র্তৃক ১ম ও ২য় পর্ব চূড়ান্ত এবং তৃতীয় বর্ষ শেষে চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
গ) আইটেম /কার্ড পরীক্ষার মাধ্যমে ফর্মেটিভ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ঘ) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তিক গৃহীত পরীক্ষার মান বন্টন
* ফর্মেটিভ পরীক্ষা ২০ নাম্বার (কার্ড ফাইনাল/ আইটেম নম্বর ) থেকে
* বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা ৮০ নাম্বার।
* পাশ মার্ক ৫০%।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্র্তৃক গৃহীত ১ম ও ২য় বর্ষ সমাপণী ও চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের যোগ্যতা-
* ক্লাসে শতকরা ৭৫ (পঁচাত্তর) ভাগ উপস্থিতি (থিওরি, প্র্যাকটিক্যাল, টিউটোরিয়াল) প্রতি শিক্ষা বর্ষে। ফর্মেটিভ পরীক্ষায় শতকরা ষাট ভাগ নম্বর নিশ্চিতকরণ।
* বিভাগীয় প্রধানের নিকট হতে প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে সন্তোষজনক আচরণের সনদ নিশ্চিত করতে হবে। সন্তোষজনক সনদ লাভে ব্যর্থ হলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভে সমর্থ হবে না।
* ১ম বর্ষে সমস্ত বিষয়ে অনুষদ কর্তৃক গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে ২য় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবে না।
* বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক গৃহীত ১ম ও ২য় বর্ষ পরীক্ষায় সকল বিষয়ে পাস ব্যতিরেখে ৩য় বর্ষের চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে সমর্থ হবে না।
প্রথম বর্ষের বিষয় সমূহ
১। ইংরেজী ২। পদার্থ বিজ্ঞান ৩। রসায়ন বিজ্ঞান ৪। বেসি্ক হিউম্যান এনাটমী ৫। বেসিক হিউম্যান ফিজিওলজি ৬। বেসিক কমিউনিটি মেডিসিন ৭। বেসিক মাইক্রোবায়োলজি, প্যারাসাইটোলজি ও ফাস্ট এইড।
দ্বিতীয় বর্ষের বিষয় সমূহ
১। রেডিওলজিক্যাল এনাটমী, ফিজিওলজি এন্ড প্যাথলজি ২। রেডিওলজিক্যাল ফিজিক্স এন্ড ইক্যুইপমেন্টস ৩। রেডিওলজিক্যাল প্রসিডিওর ( জেনারেল এন্ড কন্ট্রাস্ট) ৪। রেডিওগ্রাফিক ফটোগ্রাফী এন্ড কোয়ালিটি এসুরেন্স ৫। বেসিক কম্পিউটার সায়েন্স।
তৃতীয় বর্ষের বিষয় সমূহ
১। এডভান্সড রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং প্রসিডিওর ২। রেডিওয়েশন বায়োলজি এন্ড পেশেন্ট কেয়ার ৩। বেসিক কনসেপ্টস অব রেডিওলজিক্যাল ফাইন্ডিংস।
কোর্স পরিচিতি
মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস্)
কোর্স শিরোনাম
মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস্)
কোর্স দর্শণ
- উপ-সহকারী কমিউনিটে মেডিকেল অফিসার হিসেবে দেশের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করার নিমিত্তে নিয়োগ প্রাপ্ত হবে।
- বাংলাদেশ মেডিলে এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বি. এম. ডি. সি) কর্তৃক প্র্যাকটিসের অনুমতি থাকার ফলে মেডিকেল এ্যাসিসটেন্টগণ প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে গ্রাম পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ নিজেদের জীবিকা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
কোর্সের লক্ষ্য উদ্দেশ্য
দেশের স্বাস্থ্য সেবাদানের লক্ষ্যে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত, গ্রামাঞ্চলে আপামর জনসাধারণ, তাদের আর্থিক অপ্রতুলতা, যোগাযোগ, দূরত্ব সর্বোপরি আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর প্রতিকূলে থাকায় সারা দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সরকার সারাদেশে ১৩,৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিটিতে মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট নিয়োগ দানের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া বেসরকারীভাব স্থাপিত দেশের উপজেলা থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত অসংখ্যা হাসপাতাল ও ক্লিনিকের অধিকাংশে যথাযথ মানসম্পন্ন মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট নিয়োগ দান আজও সম্ভব হয় নাই। বর্ণিত বিষয় সমূহ বিবেচনায় রেখে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামবাসীর স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে দক্ষ মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট তৈরির নিমিত্তে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এন্ড ম্যাটস্ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
ম্যাটস্ এ কর্মসংস্থানের সুযোগ
দেশে এ মুহুর্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এর অধীনে সরকার অনুমোদিত মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট পদের মধ্যে বর্তমানে ২৫০০ এরও অধিক পদ (পাশ করা মেডিকেল এ্যাসিসটেন্টের অভাবে) খালি রয়েছে। দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিটিতে মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এর অধীনে পূর্বে নিয়োগকৃত মেডিকেল এ্যাসিসটেন্টগণ অবসরে যাবেন বলে, এসব সরকারী খালি পদেও কোর্স সম্পন্নকারীরগণ নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারবেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বি. এম. ডি.সি) কর্তৃক প্র্যাকটিসের অনুমতি থাকার ফলে মেডিকেল এ্যাসিসটেন্টগণ প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে গ্রাম পর্যায়ের বিপূল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ নিজেদের জীবিকা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
কোর্সের ব্যপ্তি, গঠন ও পরীক্ষা:
ম্যাট্স কোর্সটির ব্যাপ্তিকাল ৪ বছর। একে ৩টি ধাপে ভাগ করা হয়েছে।
- ১ম বর্ষ
- ২য় বর্ষ
- ৩য় বর্ষ + ১ (এক) বৎসর মেয়াদী ইন্টার্নীশীপ।
প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ শেষে একটি করে চূড়ান্ত পরীক্ষা বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তৃতীয় বর্ষ সমাপনীতে উক্ত অনুষদ কর্তৃক চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত পরীক্ষা সমূহ প্রত্যেক বছরের ডিসেম্বর এবং জুন মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষাদান পদ্ধতি
* লেকচার পদ্ধতিতে বড় দলের প্রশিক্ষণ।
* ছোট দলে বিভক্ত করে টিউটোরিয়াল পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ।
* ল্যাবটেরীতে ব্যবহারিক শিক্ষা দান।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত বিভিন্ন হাসপাতালে মাঠ প্রশিক্ষণ।
পরীক্ষা পদ্ধতি
ক) কোর্স চলাকালীন সময়ে কার্ড/ আইটেম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ মাস পর অর্ধবার্ষিক ও ১০ মাস পর টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
খ) বৎসরান্তে (১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষ) বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক ১ম ও ২য় বর্ষ চূড়ান্ত এবং তৃতীয় বর্ষ শেষে চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
গ) আইটেম/ কার্ড পরীক্ষার মাধ্যমে ফর্মেটিভ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ঘ) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক গৃহীত পরীক্ষার মান বন্টন।
* ফর্মেটিভ পরীক্ষা ২০ নাম্বার (কার্ড ফাইনাল/ আইটেম নম্বর) থেকে।
* বর্ষ সমাপনী পরীক্সা ৮০ নম্বর।
* পাশ মার্ক ৫০%।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক গৃহীত ১ম ও ২য় বর্ষ সমাপনী ও চূড়ান্ত ডিপ্লোমা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা
- ক্লাসে শতকরা ৭৫ (পঁচাত্তর) ভাগ উপস্থিতি (থিওরি, প্র্যাকটিক্যাল, টিউটোরিয়াল) প্রতি শিক্ষা বর্ষে। ফর্মেটিভ পরীক্ষায় শতকরা ষাট ভাগ নম্বর নিশ্চিতকরণ।
- বিভাগীয় প্রধানের নিকট হতে প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে সন্তোষজনক আচরণের সনদ নিশ্চিত করতে হবে। সন্তোষজনক সনদ লাভে ব্যর্থ হলে পরীক্ষা অংশ গ্রহণের সুযোগ লাভে সমর্থ হবে না।
- ১ম বর্ষে সমস্ত বিষয়ে অনুষদ কর্তৃক গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে ২য় বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে সমর্থ হবে না।
- বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক গৃহীত ১ম ও ২য় বর্ষ পরীক্ষায় সকল বিষয়ে পাস ব্যতিরেখে ৩য় বর্ষের চূড়ান্ত (ডিপ্লোমা) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে সমর্থ হবে না।
প্রথম বর্ষের বিষয় সমূহ
১। বেসিক ইংরেজী কোর্স ২। বেসিক কম্পিউটার সায়েন্স ৩। বেসিক কমিউনিটি হেলথ এন্ড মেডিকেল ইথিক্স ৪। বেসিক এনাটমী এন্ড ফিজিওলজি।
দ্বিতীয় বর্ষের বিষয় সমূহ
১। বেসিক প্যাথলজি এন্ড মাইক্রোবায়োলজি ২। ফার্মাকোলজি
তৃতীয় বর্ষের বিষয় সমূহ
১। বেসিক মেডিসিন এন্ড পিডিয়াট্রিক্স ২। বেসিক সার্জারী ৩। বেসিক গাইনোকোলজি এন্ড অবষ্ট্রেটিক্স ৪। বেসিক কমিউনিটি এন্ড হেলথ ম্যানেজমেন্ট।
সমগ্র দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা শহরে সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিক যার ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরী রয়েছে। আরো রয়েছে প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক। এগুলোতে রোগীদের রোগ নির্ণয়ে চিকিৎসককে সাহায্য করার কাজ করে থাকেন একজন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট।
কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে একজন বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজিষ্ট কাজ করেন।
*সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল। * সরকারী – বেসরকারী ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
*ডায়াগানস্টিক ল্যাব। *রোগ নির্ণয় গবেষণা কেন্দ্র * আইন শৃংখলা বাহিনীর ফরসেনিক বিভাগ
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী শতকরা অনুপাতে বাংলাদেশে প্রায় ২ লক্ষাধিক দক্ষ ও পরিক্ষিত মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট প্রয়োজন। ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় স্বাস্থ্যসেবা পূরণের লক্ষ্যে দেশের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এখন বহু চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এছাড়া রোগ নির্ণয়ের জন্য গড়ে উঠেছে হাজার হাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এগুলোতে প্রচুর সংখ্যাক মেডিকেল টেকনোলজিষ্টের চাহিদা রয়েছে। কোর্স সমাপ্ত করে ইন্টার্ণীশীপ করলে অসংখ্য কাজের সুয়োজ পাবেন আপনি।
ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে একজন মেডিকেল টেকনোলজিষ্টের।
মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট হিসাবে কর্মক্ষেত্রে বেকারত্বের হার খুবই কম। শুরুতে ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোয় কাজের সুযোগ অনেক। অভিজ্ঞতা থাকলে বেসরকারী বড় বড় হাসপাতালে ভালো বেতন ও সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন কাজ পাওয়া যায়। মেডিকেল টেকনোলজীতে বি.এস.সি. ডিগ্রি থাকলে কর্মক্ষেত্রে আরো বেশি সুবিধা পাওয়া যায়।এছাড়া ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হলে বিদেশে সুযোগ পাবেন। বিশেষ করে মধ্য প্রাচ্যে ও কানাডায় বাংলাদেশী হেলথ টেকনোলজিষ্টদের চাহিদা অনেক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষ
চুড়ান্ত (বি এস সি) পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের যোগ্যতা-
*ক্লাসে শতকরা ৮০(আশি) ভাগ উপস্থিতি (থিওরি, প্র্যাকটিক্যাল, টিউটোরিয়াল) প্রতি বর্ষে। পরীক্ষায় শতকরা পঞ্চাশ ভাগ নম্বর নিশ্চিতকরণ।
*১ম বর্ষে সমস্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে ২য় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ পাবে না।
*চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত পরীক্ষায় ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষ পরীক্ষায় সকল বিষয়ে পাশ ব্যতি-রেখে ৪র্থ বর্ষে চুড়ান্ত (বি এস সি) পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে সমর্থ হবে না।
কোর্সের ব্যাপ্তি, গঠন ও পরীক্ষা পদ্ধতি
বিএসসি কোর্সের ব্যাপ্তিকাল ৪বৎসর। ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষ, প্রতি বর্ষ শেষে চুড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে। পরীক্ষা সমূহ প্রতি বছরের জানুয়ারী এবং জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
*বর্ষ সমাপনী পরীক্ষায় (লিখিত ও ব্যবহারিক) নাম্বার সমূহ : ১ম বর্ষ-৯০০নাম্বার, ২য় বর্ষ -৮০০ নাম্বার, তয় বর্ষ -৮০০ নাম্বার, ৪র্থ বর্ষ ৭০০ নাম্বার। সর্ব মোট- ৩২০০নাম্বার।
*পাশ মার্ক ৫০%।
প্রথম বর্ষের বিষয় সমূহ:
১। ইন্ট্রুডাকশন টু ল্যাবরেটরী সায়েন্স ২। এ্যানাটমি এন্ড হিষ্টোলজি ৩। ফিজিওলজি ৪। মাক্রোবায়োলজি (ব্যাকট্রোলজি) ৫। মাক্রোবায়োলজি ( প্যারাসেটোলজি এন্ড মাইকোলজি) ৬। ইংরেজি
দ্বিতীয় বর্ষের বিষয় সমূহ:
১। প্যাথলজি ২। মাক্রোবায়োলজি (ভাইরোলজি) ৩। বায়োকেমিষ্ট্রি ৪। হেমাটোলজি ৫। কম্পিউটার সায়েন্স
তৃতীয় বর্ষের বিষয় সমূহ:
১। ক্লিনিক্যাল কেমিষ্ট্রি ২। হিষ্টো প্যাথলজি ৩। ইমোনুলজি ৪। টক্সিকোলজি ৫। মেডিকেল ইনুষ্ট্রুমেন্টেশন
চতুর্থ বর্ষের বিষয় সমূহ:
১। ট্রাসপিউশন মেডিসিন ২। ডায়াগনস্টিক কিটস এন্ড টেষ্ট অর্গানিজন্স ৩। মেডিকেল ইনুষ্ট্রুমেন্টেশন ৪। ইনকোর্স ল্যাবরেটরী ট্রেনিং (২৬ সপ্তাহ) লগবই এসেসমেন্ট।